নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী দেশের জিডিপি বেড়েছে। জিডিপি কত বেড়েছে তা দেশের মানুষ জানতে চায় না। জিডিপি দিয়ে মানুষের পেট ভরে না, তাই চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে গেলে ফলাফল বিরাট একটা শূন্য।
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেজর (অব.) মো. মাহফুজুর রহমানের জাতীয় পার্টিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, দেশে সুশাসন ও নিরাপত্তা নেই। অনেক ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা। সড়কে দুর্ঘটনা ঘটবে, মানুষ মারা যাবে আবার প্রতিদিন রাস্তা বন্ধ হয়ে হাজার হাজার মানুষ সড়কে আটকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাবে- এটাই যেন স্বাভাবিক ঘটনা। রেলের সঙ্গে বাসের ধাক্কা লেগে মানুষ মারা যাবে, এটা যেন খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। মেগা প্রকল্প মানেই মেগা ব্যয়। এক বছরের কাজ তিন বছর ধরে চলবে, একশ কোটি টাকার স্থলে তিনশ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এক বছরের স্থলে তিন বছর ধরে কষ্ট করবে সাধারণ মানুষ।
তিনি বলেন, কাজ নেই, বেকারত্ব বাড়ছে। ট্যাক্স বেড়েছে সব ক্ষেত্রে, কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি। তাই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে মানুষের জীবনযাপন দুঃসহ হয়ে উঠেছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ দেশের যে অবস্থা করেছে বিএনপি এলে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। দেশ ও মানুষের কোনো উপকার হবে না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চায়। দেশের মানুষ বিকল্প শক্তি হিসেবে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। দেশের মানুষ জানে দুর্নীতি, দুঃশাসন, স্বজনপ্রীতি, লুটপাট আর বৈষম্য দূর করতে জাতীয় পার্টির বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন, যে স্বপ্ন পূরণ করতে লাখো মা-বোন সম্ভ্রম দিয়েছেন- আমরা সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই রাজনীতি করছি। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তেই আমরা এগিয়ে চলছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মো. এমরান হোসেন মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন খান, আনোয়ার হোসেন তোতা, মো. জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।