আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : হজের চতুর্থ দিন জামারায় পাথর নিক্ষেপের জন্য মিনায় অবস্থান করছেন এবারের সীমিত হজে অংশগ্রহণকারী হাজিরা। জিলহজের ১৩ তারিখ পর্যন্ত জামারায় পাথর নিক্ষেপ করে ইতিহাসের স্মরণীয় হজের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনারোধে এবারের হজে সৌদির হজ ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ছিল খুবই তৎপর। হজের কার্যক্রমে ছিল নানা রকমের বিধি-নিষেধ। হাজিদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব পর্যবেক্ষণে বেশ সচেতন ছিলেন কর্তৃপক্ষ।
সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, সব হাজির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এখন পর্যন্ত কোনো হাজি রোগাক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তাছাড়া করোনা ভাইরাসেও আক্রান্ত হননি কেউ।
স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিশেষ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে তাওয়াফের পর বিশেষভাবে জীবাণুনাশক পদার্থ দিয়ে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণ ও মসজিদ হারাম জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিদিন ১০ বার করে ৩৫ শ পরিষ্কারকর্মী পরিষ্কার কাজ সম্পাদন করছে। এতে প্রায় ২৪ শ লিটার সেনিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে।
এবারে হজে স্বাস্থ্যসেবায় নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী ডা. আমানি আল সাদি বলেন, হাজিরা নিজ ঘর ত্যাগ করার পর থেকে হজের শেষ দিন ফিরে যাওয়া পর্যন্ত হাজিদের সব কাজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
অন্যের সংস্পর্শ থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হজের বাসগুলোতে আসন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তাছাড়া মেডিকেল ক্লিনিকের চিকিৎসাকর্মীরা নিয়মিত হাজিদের স্বাস্থ্য পরিক্ষা করছেন ও প্রয়োজনীয় ঔষুধ সরবরাহ করছেন।
এবারের অংশগ্রহণকারী ইন্দোনেশিয়ান নারী ফারিদা বলেন, এবারের হজে অংশগ্রহণের সুযোগ আমার ওপর আল্লাহর সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ। এবারের হজ অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অত্যন্ত গোছালো ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রাতি আমরা কৃতজ্ঞ।
সূত্র : আরব নিউজ