অনলাইন ডেস্ক: সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।
শুক্রবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর পরিচালক মো. আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
এর আগে আগামী দুই সপ্তাহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। দুই সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সংক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে ৩৩ শতাংশ শয্যা ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়েছে। পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিয়ে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একশ জনের বেশি অংশ নিতে পারবে না। সবার টিকা সনদ থাকতে হবে।’
১১ দফা বিধিনিষেধ সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এগুলো কার্যকরের চেষ্টা চলছে। সংক্রমণ যাতে কমে সে জন্য এ সিদ্ধান্ত। পরিবার, দেশে ও নিজের সুরক্ষার জন্য আমাদের নিয়মগুলো মানতে হবে। সরকার বিধিনিষেধ দেন, যাতে আমরা মেনে চলি।’
এছাড়া কোভিড সংক্রমণরোধে ৫টি জরুরি নির্দেশনা জারী করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নির্দেশনাগুলো হলো –
১) ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে।
২) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থাগ্রহণ করবে।
৩) রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমাবেশ, অনুষ্ঠানসমূহে ১০০ জনের বেশি সমাবেশ করা যাবে না।
এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে।
৪) সরকারি-বেসরকারি অফিস শিল্প কারখানাসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ববহন করবেন।
৫) বাজার, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও রেলস্টেশনসহ সব ধরনের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি মনিটর করবেন।