আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনে পৌঁছেছে ত্রাণের প্রথম চালান। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে ত্রাণ পৌঁছাল।
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর মিসর, গাজা ও ইসরায়েলের সীমান্তের মধ্যকার সংযোগস্থল কেরাম শালোম খুলে দিয়েছে ইসরায়েল। এ সীমান্ত দিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার ত্রাণের ট্রাক ঢুকছে গাজায়। এসব ট্রাকে খাবার, জ্বালানি ও ওষুধ রয়েছে। খবর বিবিসির
এছাড়া যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয়শিবির থেকে বাড়ি ফিরছে।
জেরুজালেমের আল-আকসায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এই সংঘর্ষের পরে তীব্র আকার ধারণ করে। টানা সংঘর্ষ চলে ১১ দিন। এতে আড়াই শর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজার প্রায় এক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। প্রায় আট লাখ মানুষ পানি সরবরাহ লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে আগে থেকেই দারিদ্র পীড়িত গাজার অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে লাখ লাখ ডলারের প্রয়োজন পড়বে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস অবিলম্বে গাজায় চিকিৎসা সামগ্রী এবং চিকিৎসকদের প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত হওয়ায় সেখানকার স্বাস্থ্যসেবা অচল হয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনডব্লিউআরএ) বলেছে, তাদের অগ্রাধিকার হলো গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষদের শনাক্ত করে তাদের সাহায্য করা। তারা ত্রাণ হিসেবে অবিলম্বে তিন কোটি ৮০ লাখ ডলার সাহায্য চেয়েছে।