রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী চারঘাট উপজেলার কুঠিপাড়া গ্রামে নারায়নগঞ্জ থেকে আসা এক ব্যাক্তিকে কেন্দ করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার কারনে সকল শ্রেনীর পেশাজীবি মানুষ বেশ সংশয়ের মধ্যে বিরাজ করছে। ওই সময় নারায়ানগঞ্জ থেকে হুমায়ন কবির (কাকন) নামের এক ব্যাক্তি উপজেলার কুঠিপাড়া গ্রামে আসে।
আজ শুক্রবার ভোররাতে ওই ব্যাক্তি কুঠিপাড়া গ্রামে আসে। হঠাৎ স্থানীয় লোকজন তার উপস্থিতি টের পেয়ে চারাঘাট মডেল থানাকে খবর দেয়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টে থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়। কিন্ত তারা নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে গ্রামে অবাদে ঘুরাফেরা করতে থাকে। অনুমান ৫টার সময় প্রতিবাদ করার লক্ষে ওই পরিবারের বাড়ির সামনে ভিড় জমায় গ্রামবাসী। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে পরে ওই ব্যাক্তি গ্রাম থেকে নিজ ইচ্ছায় চলে যায়। বর্তমান এই পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কে আছে গ্রামবাসী।
সংবাদ সংগ্রহ কালে ওই ব্যাক্তির ছদ্মবেশি নানাবিধি পরিচয় পাওয়া গেছে। গ্রামের কেউ বলছে এ্যাডভোকেট, কলেজের প্রভাষক কখনও বা ব্যবসায়ী। নারায়নগঞ্জ ফেরত ব্যাক্তির নাম হুমায়ন কবির (কাকন) সে এশারনগর থানাধীন পরিশ গ্রামের পিতা অব্দুল লতিফে এবং মাতা মাজেদা বেগমের ছেলে। বর্তমান কুঠিপাড়া গ্রামের জামালের মেয়ে কামরুননাহার মিলির দ্বিতীয় স্বামী। ঘটনার পরস্পর হুমায়ন তার পরিচয়ে বলে, সে সরকারী বিভিন্ন অধীদপ্তরে জনবল নিয়োগ দেয়। তবে তার স্ত্রী মিলি বলছে, তার স্বামী একজন এ্যাডভোকেট এবং জয়েনষ্টকের ব্যবসা করে।
এবিষয়ে এএসআই নবিন চন্দ্র সঙ্গীয় র্ফোস নিয়ে কুঠিপাড়া গ্রামের জামালের বাড়িতে তদন্ত করে। নারায়নগঞ্জ থেকে আসা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাদেরকে হোম-কোয়ারেন্টটাইনে থাকাতে বলা হয়। ওই ব্যাক্তির পরিচয় তেমন ভাবে নেয়া হয়নি বলে জানান, এএসআই নবিন। চারঘাট মডেল থানা কতৃক ওই পরিবারকে হোম-কোয়ারেন্ট থাকার জন্য নের্দেশনাও দেয়া হয় বলে জানান তদন্ত ওসি ফরহাদ আলী।