চলে গেলেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

নিউজ ডেস্ক: মারা গেছেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ৮৬ বছরে শেষ হলো সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কর্মময় পথচলা। হাসপাতালে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রবিবার ১২টা ১৫ মিনিটে না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রবীণ এই মহাতারকা, অভিনেতা-নাট্যকার-বাচিকশিল্পী-কবি ও চিত্রকর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতের একাধিক গণমাধ্যম।

গত শুক্রবার থেকে সৌমিত্রর শারীরিক অবস্থার আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটতে থাকে। হৃদযন্ত্র আর কিডনির জটিলতা অনেকটা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় ‘হার্ট রেট’। বাড়তে থাকে স্নায়বিক সমস্যাও। প্রবলভাবে ওঠানামা করতে থাকে অক্সিজেনের মাত্রা। শনিবার বিকেলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, অলৌকিক কিছু না ঘটলে সৌমিত্রের সুস্থ হয়ে ওঠা অসম্ভব।

এর আগে বেল্ভিউ হাসপাতলের এক চিকিৎসক জানান, প্রবীণ অভিনেতার স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলেছে কভিড এনসেফেলোপ্যাথি। তার জেরে ‘সব চেষ্টা’ ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। গত ৪০ দিন ধরে নিউরোলজি, নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন, আইডি বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের একটি দল তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত ছিলেন। ওই চিকিৎসকের কথায়, ‘স্টেরয়েড, ইমিউনোগ্লোবুলিন (অ্যান্টিবডি), কার্ডিয়োলজি, অ্যান্টি-ভাইরাল থেরাপি, অনাক্রম্যতা – সব রকমের চেষ্টা করেছি আমরা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দুঃখিত যে উনি সাড়া দিচ্ছেন না। আমরা শেষ চেষ্টা করছি। ওঁনার পরিবারও সেটা মেনে নিয়েছে। উনি প্রায় এমন জায়গায় আছেন, যেখান থেকে ফেরা কার্যত অসম্ভব।’

গত ৬ অক্টোবর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর ১৪ অক্টোবর অভিনেতার কভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু কভিড এনসেফেলোপ্যাথির কারণে তাঁর স্নায়ুতে প্রভাব পড়ে। এর পর থেকেই প্রায় অচেতন তিনি। মাঝে কয়েক দিন চোখ মেলে সাড়া দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title