গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের কারণে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্থ নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার লিচু চাষী ও বেপারীরা। তারপরেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে অর্ধেকের বেশি লিচু চাষীদের বাগানেই নষ্ট হয়ে গেছে। মৌসুমের শুরুতেই অগ্রিম বায়না দিয়ে এসব লিচুর বাগান ক্রয় করে বেপারীরাও পড়েছেন বিপাকে। এবারের লিচু মৌসুমের শেষভাগে এসেও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতে হচ্ছে চাষী ও বেপারীদের। বাগানে কর্মরত শ্রমিকের মজুরী দিতে পারছেন না তারা। অগ্রিম বায়না দেওয়া বাগানের বাকী টাকা চাষীদের পরিশোধ করতে পারছে না বেপারীরা। অনেক বেপারী বায়না দিয়েও লিচুর বাগানে পা রাখেনি। ফলে বাগানের লিচু বাগানেই পড়ে থাকছে। অথচ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে লিচু উৎপাদন করে থাকেন চাষী। এই লিচু বাগান স্থানীয় ও বহিরাগত বেপারীরা ক্রয় করে রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লিচু সরবরাহ করে আসছেন। কিন্তু এবছর করোনা ও আম্ফান ঝড়ের কারণে তারা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লিচু সরবরাহ অনেকটাই কম। সবমিলিয়ে লিচু চাষী ও বেপারীদের খাঁড়ার ওপর মড়ার ঘাঁ অবস্থা চলছে।
উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের লিচু বেপারী মফিজ উদ্দিন ও বাবু শেখ বলেন, ২০ বছর ধরে তারা লিচুর ব্যবসা করছেন। এ বছর ৩৩ লাখ টাকায় চাষীদের কাছ থেকে বাগান কিনেছেন। লিচু বিক্রি করেছেন মাত্র ৫ লাখ টাকার। বাগানে লিচু আহরণের জন্য ৪০জন শ্রমিককে মাথাপিছু ৩শ’ থেকে ৬শ’ টাকা করে পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে। ফলে তাদের লিচু বিক্রি করে খরচের টাকা যোগানোই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।