রাসেল হাওলাদার, বরগুনা প্রতিনিধি :গভীর সমুদ্রে ডাকাতির অভিযোগে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয় ৯ জনকে আটক করেছে বরগুনা ডিবি পুলিশের সদস্যরা।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয় তাদেরকে আটক করে সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে পাথরঘাটা থানায় সোপর্দ করা হয়।
অভিযুক্ত আটককৃতরা হল- ট্রলারের মাঝি ইব্রাহিম, রাসেল, মিরাজ, বেলাল, শাহজাহান, আল আমিন, ইয়াসিন, মিরাজ ও মঞ্জু মিয়া। এদের প্রত্যেকের বাড়ি পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়।
সাতক্ষীরা জেলার ট্রলার মালিক হালিম বিশ্বাস জানান, চলতি বছরের গত ১০ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরের ফেয়ার ওয়ে বয়ার এলাকায় মাছ শিকারের সময় আমার ট্রলারের পাশে বরগুনার পাথরঘাটায় রিপন দফাদারের মালিকানাধীন সোহেল সুমি ট্রলার নোঙর করে। এসময় পনের (১৫) জন মাঝিমাল্লারা আমার ট্রলারের মাছ ধরার সরঞ্জামাদি, জাল ও দড়ি ছাড়াও ট্রলারে থাকা সৌর বেটারি, সোলার প্যানেল, চাল, তেল, মোবাইল, টর্সলাইট সহ প্রায় চার লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এসময় আমার নৌকায় থাকা মাঝিমাল্লারা বাঁধা দিলে পাঁচজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
পরে ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামী করে পাথরঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী হালিম। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করা হয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাঈদ আহমেদ জানান, ঘটনার সময় লুন্ঠিত তেলের ড্রাম সহ বেশকিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) নয় জন আসামীকেই পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হবে। আপাদত তাদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামিদেরকে আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহরম আলী জানান, সাতক্ষীরা জেলার হালিম বিশ্বাসের ডাকাতির ঘটনায় দেয়া অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে রোববার রাতে পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করেছি। তবে বাকিদেরো অতি শীঘ্রই আটক করতে সক্ষম হব। ট্রলারের মালিক সহ অন্যান্য জড়িতদের আটকের জন্য চেষ্টা চলছে।