নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের দৃশ্য চোখে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের।
সকালে বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজট লেগে যায়। উত্তরা থেকে খিলক্ষেত, বনানী হয়ে যাটজট ছড়িয়ে পড়ে কারওয়ানবাজার পর্যন্ত। উল্টোদিকে জাহাঙ্গীর গেট থেকে বনানী পর্যন্ত ছিল প্রচন্ড যানজট। এসময় কিছুটা থেমে থেমে গাড়ি চলাচল করলেও সড়কে যাতায়াতকারীদেরকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এছাড়া কুড়িল বিশ্বরোড-রামপুরা রোডে যাতায়াতকারীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হয়।
যানজটের কারণে দিনের প্রথম প্রহরে অফিসগামী মানুষকে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এদিন সকাল ৮টার দিকে ফার্মগেট থেকে বিজয় সরণি সিগন্যাল পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৪৫ মিনিট। এর পরও যানজট কমেনি।
তবে জাহাঙ্গীর গেট থেকে মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচ পর্যন্ত রাস্তায় সারি করে অনেক গাড়ি পার্কিং করে রাখতে দেখা যায়। এ ছাড়া রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করা থাকায় অনেকটা রাস্তার ওপরেই বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসগুলো যাত্রী ওঠানামা করানোর কারণে যানযট পার হতে আরও সময় লাগে।
সকাল সোয়া ৮ টায় গাজীপুর থেকে সাইনবোর্ডগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে কথা হয় রুম্মান নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে।তিনি জানান, টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে খিলক্ষেত আসতে সময় লেগেছে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট। অন্য সময় লাগে ৪০ মিনিট।
কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় জহির নামে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী জানান, দুদিন ধরেই অফিসে যেতে দেরি হচ্ছে। আজও রাস্তায় প্রচন্ড যানজট। গাড়ি চলেই না। তাই হেঁটেই অফিসের দিকে রওনা হয়েছেন তিনি।
যানজটে অতীষ্ট নগরবাসীর অনেককে বাস থেকে নেমে হেঁচে চলাচল করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোদমে খোলা হওয়ায় চাপ পড়েছে সড়কে।
প্রায় দুই বছর পরে মঙ্গলবার থেকে সশরীরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হয়েছে। এজন্য এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে দেখা যায় অভিভাবকদের। পাশাপাশি অফিসগামী ও সাধারণ মানুষসহ রাস্তায় যাতায়াতকারী যাত্রীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। আর বাড়তি মানুষের চলাচলের কারণে রাজধানীর সড়কের যানজট আরও বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।
রাজধানীর মহাখালি, সাত রাস্তা, বিজয় সরনী, বাংলামোটর, শাহবাগ, মতিঝিলসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা অন্যান্য দিনের চেয়ে যানজট তীব্র দেখা যায়। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই ট্রাফিক পুলিশদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়।
এসব এলাকায় সিএনজি, প্রাইভেটকার, রিকশায় পুরো রাস্তাই বন্ধ হয়ে রয়েছে। দীর্ঘ সময় পরপর সিগন্যাল ছাড়ছে, তবে সেই সঙ্গে গাড়ির লাইনও আরও দীর্ঘ হচ্ছে। আর যানজটের মধ্যোও চালকদের আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা যানজটকে আরও তীব্র করছে।