ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। উভয় গ্রæপ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ও একই সময় বসুরহাট বাজারে মানববন্ধন ও সমাবেশ আহবায় করায় সর্বত্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন কোম্পানীগঞ্জের সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার দুপুরে বসুরহাট রুপালী চত্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আবদুল কাদের মির্জা জানান, চাপরাশির হাটে তার সমর্থিত লোকজনের উপর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যন মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে অযাচিত হামলা ও গুলিবর্ষণ করে অন্তত ২০ জনকে আহত করে। এর মধ্যে একজন সাংবাদিকসহ ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরি, ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম হাজারি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় আগামী ২২ ফ্রেব্রæয়ারী বসুরহাটে মানবন্ধন, পরবর্তিতে ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট ম্মারকলিপি পেশ করার কর্মসূচীর ঘোষনা করেন।
অপরদিকে, একই সময় উপজেলার পেশকার হাট রাস্তার মাথায় সংবাদ সন্মেলন করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অশালীন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এতে তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।
তাই আবদুল কাদের মির্জাকে দল থেকে স্থানীয় ভাবে বহিস্কার করা ও অবিলম্ভে গ্রেফতার করে উন্নতমানের মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবী জানানো হয়। এ সময় আগামী ২২ ফেব্রæয়ারী বসুরহাটে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন।
উভয় পক্ষের এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীতে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছে স্থানীয় বাসিন্ধারা।
বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির জানান, আমরা শান্তিপূর্ন পরিবেশ চাই। কোন প্রকার অপরাজনীতির বলি হতে চাইনা।
এ বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় অতিরিক্ত র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।