জাহাঙ্গীর হোসেন ঝানুঃ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে গোডাউনে বিস্ফোরন ঘটনায় আশপাশের ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদে সরে যেতে বললেও অধিকাংশ এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে।এতে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষিত থাকায় কেরানীগঞ্জ বাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে ঘটনা স্থলের মার্কেটের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।বহিরাগতরা যাতে ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য মডেল থানার দুইজন কন্সটেবল মেইন গেইটে পাহারারত অবস্থায় আছে।সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেই দেখা মিলে বায়েজিত ষ্টীল নামের দোকান মালিক টুটুলের সাথে।তিনি জানান,নয় বছর ধরে এ মার্কেটে ষ্টীল ফার্নিচার মালের ব্যবসা করে আসছি,কারখানায় দশজন শ্রমিক কর্মরত ছিলো ঘটনার পর সবকিছু বন্ধ আমার প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
পাশের হাজী খলিল ম্যানসনের পাঁচতলা ভবন মালিকের ছেলে সাঈদ(৩৫) জানান,ঘটনার পরপর দোতলায় ইডেন্স গার্ডেন স্কুলসহ কোচিং সেন্টার এনজিও অফিস স্থানান্তর করা হয়েছে।তবে বিভিন্ন পেশার কিছু শ্রমিক বসবাস করছে।এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ বলেন,আমাদের ভবন রাজউক অনুমোদিত।আমাদের ভবনের কোন ক্ষতি হয়নি।বিস্ফোরন স্থলের পূর্বদিকে আব্দুল মান্নানের ছয়তলা ভবন মালিক ভাড়াটিয়ারা ভবনেই বসবাস করছেন।ভবন মালিককে বাসায় পাওয়া যায়নি তবে তার মেয়ের জামাই আরিফ জানান,শুনেছি ভবন মালিকদের সরে যেতে বলা হয়েছে।আমরা কেনো সরে যাবো, আমাদের ভবন রাজউক অনুমোদিত।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ভবনের এক ভাড়াটিয়া জানান,ভবনের ভিতরে ও বাহিরে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।রিপেয়ারিংয়ের কাজ চলছে।আমরা বাড়ির মালিকের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ জানান আমাদের তদন্ত কমিটি বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর তার আলোকে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।