কেরানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় স্কুল ছাত্র আহত

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ মীরেরবাগ এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় স্কুল ছাত্র নাবিল (১৪)আহত হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধায় মীরের বাগ বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নাবিলের বাবা আজিম জানায়, নাবিল তার নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। নানার বাড়ির সামনে রাস্তায় দাড়িয়ে মামা রিফাত ও সোহেলের সাথে কথা বলছিল।এমন সময় মাহিন নামের এক বখাটে কোন কারন ছাড়াই নাবিলের গায়ে ধাক্কা মারে । ধাক্কার ঘটনায় নাবিলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।পরে মাহিন এর জের ধরে , তার গ্যাং লিডার সবুজকে এঘটনা খুলে বলে, বিষয়টি সবুজ শুনে তার কিশোরগ্যাংয়ের গ্রুপের সকল সদস্যকে খবর দেয়। মাহিন ও সবুজ সহ ৬/৮ সদস্য এসে নাবিলের নানার বাড়ির সামনে নাবিলকে পেয়ে হামলা করে। এসময় নাবিলকে দাঁড়ালো দেশিয় অস্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং এলো পাথারি লাঠি পেটা, কিলঘুষি গিলা জখম করে। নাবিল এর সমবয়সি মামার দিকে মারতে গেলে সে দৌড়ে পালায় । তাকে দৌড়ে পায়নি তারা । নাবিলকে মাহিন ও সবুজ বেদর মারধর করলে নাবিল জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে যায়। পরে মাহিন,সবুজ তার বাহিনী নিয়ে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী ও তার নানা বাড়ির লোকজন নাবিলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। নাবিলের অবস্থা খুব খারাপ। তার মাথায় আঘাতের কারনে তার মাথায় আঘাতে ৯টি সেলাই লেগেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সবুজ একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, সে পরাগ অপহরণ ও মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর সোহাগ ও টাক্কু রিপনের সহযোগী। তার কাছে অবৈধ অস্র আছে। এলাকাবাসী আরো বলেন সবুজ এলাকার বখাটেদের নিয়ে কিশেরগ্যাং তৈরি করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, সবুজ বখাটে গ্রুপ নিয়ে সব সময় মানুষের পারে পারাদিয়ে মারামারি করে। তিনি আরো বলেন, কিশোরগ্যাং প্রধান সবুজ এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদকসহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
সবুজ কিশোরগ্যাং গ্রুপের মাধ্যমে সমাজের শান্তি বিনষ্ট করছে। তারা দল বেঁধে চলাচল করে।
সবুজ মানুষের পায়ে পারা দিয়ে মারমারি করে। কিছু দিন আগে মীরের বাগ এলাকার ভাষানির ছেলে মৃদুল কে গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ছুরি গলা ফসকিয়ে কাঁদে আঘাত লাগে। অল্পের জন্য মৃদুল বেচে যায়। তার কিছু দিন আগে বাপ্পি নামে এক ছেলেকে ৮/১০ জন মিলে মেরে আহত করেছে।

এ বিষয় নাবিলের বাবা আজিম দক্ষিন কেরানীগঞ্জ একটি অভিযোগ করেছেন । এঘটনায় তিনি সঠিক বিচার চেয়েছেন।

দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ব্যাপারে নাবিল এর পিতা আজিম বাদীহয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের টিম আসামিদের আটক ততপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।#

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title