কেরানীগঞ্জে জনসমাগম নিয়ন্ত্রনে কঠোর অবস্থা প্রশাসন, নিম্নবিত্তদের জন্য নেই বৃহৎ কর্মসূচী
নিজস্ব প্রতিবেদক : কেরানীগঞ্জে করোনাভাইরাস রোধে জনসমাগম নিয়ন্ত্রনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেছে উপজেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঢাকার কেরানীগঞ্জে পুলিশের সাথে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী সহ যৌথবাহিনী। সচেতন করতে মাইকিং এবং জনসমাগম ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগের পাশাপাশি কেরানীগঞ্জ মডেল ও দক্ষিণ থানা যৌথভাবে জ্বল কামান ব্যবহার করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কদমতলী, জিঞ্জিরা, কালিন্দী সহ বেস কয়েকটি স্থানে পুলিশ জ্বল কামান ব্যবহার করে রাস্তাঘাট জীবানু মুক্ত এবং জনসাধারণ কে ছত্রভঙ্গ করার কাজেও ব্যবহার করছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উভয় থানার সহকারী কমিশনার কামরুল হাসান সোহেল ও সানজিদা পারভীনের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর দুটি টীম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব্ অভিযান পরিচালনা করেন। যৌথবাহিনির টিম দুটি জনসাধারণকে জনসচেতনতার পাশাপাশি লোক সমাগম দেখলেই তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাজ করছে । তবে কোথাও কোথাও অহেতুক বল প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।পেটের দায়ে বাসা থেকে বেরিয়ে আসা বাধ্য হয়ে রাস্তায় হচ্ছে অনেকেই। তবে এসব নিম্ন আয়ের মানুষের সাহায্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে তেমন কর্মসূচী নেই।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিকে আমরা জনসাধারণ কে বুঝাতে চেষ্টা করছি দেশের পরিস্থিতিতে তাদের করনীয় । এতে অনেকে সচেতন হলেও কিছু অতিউৎসাহী লোক তা মানছে না। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল বলেন, জনসাধারনের মাঝে জনসচেতনতা বাড়ছে। গতকালের তুলনায় রাস্তাঘাটে আজ লোক সমাগম কম দেখা গেছে। দুই একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরো উন্নতি হবে বলে আশাব্যক্ত এই কর্মকর্তা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মইনুল ইসলাম পিপিএম, দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান, মডেল থানার ওসি অপারেশন আসাদুজ্জামান টিটু সহ উভয় থানার কর্মকর্তা ও সদস্য গন। এছাড়াও পুলিশের সাথে জনসাধারণকে সচেতন করতে কাজ করছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলো বেগম ও যুবলীগ নেতা মাহমুদ আলম।