তৈয়বুর রহমান, কালীগঞ্জ(গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে ফসল নষ্ট করায় ছাগল জবাই করে বন্ধুদের নিয়ে রান্না করে খাওয়ার পরিনামে বলির শিকার হতে হলো আজিজুর রহমান খানের।
ঘটনার ২১দিন পর বুধবার রাতে কুমিল্লা থেকে অভিযুক্ত কাউছারকে গ্রেফতার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওই আসামীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে গাজীপুর জেল-হাজতে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে মোস্তাক তার দুই মামা কাউছার, ফয়সাল, মা নুর নাহার, ভাগ্নে তানবীর ও নানা করিম পাঠান এ ছয় জনের নাম উল্লেখ্য কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। যার নং ১০।
উল্লেখ্য যে, ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ এপ্রিল বুধবার দুপুরে উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের রয়েন গ্রামে। নিহত ওই যুবক রয়েন গ্রামে মৃত আবুল হাসেম খানের ছেলে। সে তিন সন্তানের জনক।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,
প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আজহারের ছাগল আজিজুরের সবজি বাগানে ঢুকে দীর্ঘািদন যাবত ফসল নষ্ট করছিল। পরে চাচাতো ভাইয়ের পরিবারকে ছাগল বেধেঁ রাখতে বলা হলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের ছাগল এসে ওই বাগানে ফসল নষ্ট করতে দেখে।পরে ছাগলটি জবাই করে ওই দিন দিবাগত রাতে আজিজ তার সহযোগীদের নিয়ে ওই ছাগলের মাংস রান্না করে খেয়ে ফেলে।এ ছাগল খেয়ে ফেলায় বুধবার ১১টার দিকে আজিজ বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার সময় তার বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় বলির শিকার হতে হলো ওই যুবকের।পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা মোস্তাক ও দুই মামা কাউছার, ফয়সাল,তার মা নুর নাহার, ভাগ্নে তানবীর ও নানা করিম পাঠানসহ অজ্ঞাত আরো ৩-৪জন মিলে লোহার রড, শাবল ও দেশীয় অস্ত্র লাঠি-সোটা নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে তার ডাক-চিৎকারের আশে-পাশের লোকজন এসে তাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে গেলে, সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ দিকে নিহতের স্ত্রী জানান, আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি পানি খেতে চাইলে মূখে প্রস্রাব করে দেয় অভিযুক্তরা বলেও অভিযোগ রয়েছে।পরে গাজীপুর সদর মেট্রোপুলিশ নিহতের প্রাথমিক সুরত হাল রির্পোট তৈরী করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কালীগঞ্জ থানার (ওসি পরিদর্শন ) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তবে আসামিরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন দ্রুত তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।