অনলাইন ডেস্ক: ভারতের করোনার প্রথম ঢেউ ও কড়া লকডাউনের ধাক্কায় অর্থনীতির ২৪ শতাংশ সঙ্কোচন হয়েছিল।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের মরণকামড়ের সময় অর্থনীতির কথা ভেবেই ভারতজুড়ে লকডাউন দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এবার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মুখে শনিবার নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, করোনার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু এ ভাইরাস ভারতের গতি রুখতে পারবে না।
দেশটির প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যের পর সরকারের ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, তৃতীয় ঢেউ এলেও যে ফের পুরোপুরি লকডাউন হবে না, বছরের প্রথম দিনে তারই ইঙ্গিত মিলল।
মোদি বলেন, ভারত সব রকম সাবধানতা বজায় রেখে, সব রকম সতর্কতার সঙ্গে করোনার সঙ্গে লড়বে এবং নিজের জাতীয় স্বার্থও রক্ষা করবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে গত কয়েক দিন ধরে নিয়মিতভাবে রাজ্যগুলোতে সতর্কবার্তা পাঠানো হচ্ছে এবং কী কী প্রস্তুতি নিতে হবে, তার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
দিল্লি, কলকাতাসহ বড় শহর ও একাধিক রাজ্যে ইতোমধ্যে শপিংমলসহ নানা ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। করোনার প্রথম ধাক্কায় গত বছরের এপ্রিল-জুনে জিডিপির প্রায় ২৪ শতাংশ সঙ্কোচন হয়েছিল। তার পর জুলাই-সেপ্টেম্বরেও সেই সঙ্কোচন বজায় ছিল।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষের মধ্যে রুটিরুজি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে তার ছাপ বাজারের চাহিদা থেকে নতুন লগ্নির ওপরেও পড়বে।
সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে মোদি বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে আরও মজবুত করতে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়াতে অনেক কাজ হয়েছে।
হাজার হাজার নতুন ভেন্টিলেটর আনা হয়েছে। হাসপাতাল, টেস্টিং ল্যাবের আধুনিকীকরণ হয়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট।
সূত্র : আনন্দবাজার