নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, এই জয় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। এই জয় উৎসর্গিত আমার নেত্রীর জন্য। এই জয় উৎসর্গিত আমার নিবেদিতপ্রাণ নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য; যারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। এ জয় মুক্তিযোদ্ধাদের জয়।
নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ের খবর আসার পর রোববার রাত সোয়া ৯টায় নগরীর নিজ বাসা চুনকা কুটিরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইভী বলেন, আবারো প্রমাণ হয়েছে এই নারায়ণগঞ্জের মাটি নৌকার ঘাঁটি। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের জয় এই নারায়ণগঞ্জেই হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পেরেছি বলে নিজেকেও গর্বিত মনে করি। শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমি আজীবন এই দল করতে চাই।
প্রধান প্রতিপক্ষ তৈমুর আলম খন্দকারের অভিযোগের জবাবে আইভী বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা সারাদিন ছিলেন। প্রশাসন ছিল। ফলে এরকম কিছু হয়ে থাকলে আপনাদের চোখে পড়ত। আমি মনে করি- ইভিএম ভোটিং স্লো না হলে ভোট কাস্টিং বেশি হতো এবং লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হতাম।
তিনি বলেন, আমার সব নির্বাচনই ছিল চ্যালেঞ্জিং। এটাও তার চেয়ে কম নয়। নির্বাচন মানেই প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সব কিছু ওভারকাম করে জয় নিয়ে আসার মধ্যেই আমাদের সাফল্য। তবে আমি মনে করি যত কিছুই এখানে হোক না কেন, তবুও নৌকার বিজয় হয়েছে এর মূলেই আমার জনগণ। জনসমর্থন যদি না থাকত তাহলে আমি নারায়ণগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না।
তিনি আরও বলেন, তবে এটা সত্য- মানুষকে আস্থায় আনার জন্য কখনো তাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেইনি। কখনো অযথা আশ্বাস দেইনি। আমি গতানুগতিকের বাইরে গিয়ে এ শহরের মানুষের সঙ্গে সাধারণভাবে মিশেছি। কাজ করেছি। আমি যেটা পেরেছি সেটাই বলেছি। সেটা পারি নাই, সেটা বলি নাই। নি:স্বার্থভাবে মানুষকে ভালোবেসেছি। মানুষও তা ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার দল ও নেত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জবাসীও তাকে নিরাশ করেননি।
এ সময় তিনি বিগত বছরের মতো তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ তৈমুরের বাসায় মিষ্টি নিয়ে যাবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাব। তৈমুর কাকা চাইলেও যাব, না চাইলেও যাব এবং তার যৌক্তিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো দুজনে মিলে বসে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।