নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির ক্ষমতা থেকে দীর্ঘদিন বাইরে থাকলেও স্থানীয় নেতাদের উপর মহলে লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিটি জেলা ও উপজেলা কমিটি এবং মনোনয়ন ঘোষণা বিষয় সামনে আসতে প্রথমেই সামনে আসে তাদের বিভিন্ন বানিজ্যের বিষয়। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ শোনা যায় তাদের নিজস্ব নেতা কর্মীরা। এমন একটি অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে।
সম্প্রতি যুবদলের কমিটি গঠন কেন্দ্র করে সম্পূর্ন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল দুইভাগে বিভক্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহানগরের একাদিক নেতা তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নতুন কমিটিকে সামনে রেখে এমনই অর্থের মিশনে নেমেছেন নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিভাগীয় টিম সদস্য মোঃ মোশারফ হোসেন। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ২০ লক্ষ টাকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বিভিন্ন পদ দেয়ার কথা বলে কয়েককজনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাদের দাবি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক পদের জন্য মমতাজ হোসেন মন্তু , সদস্য সচিব পদের জন্য সাবেক ছাত্র দল নেতা সাহেদ এবং সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক পদের জন্য রানা মুজিব কাছে থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নগদ বুঝে কমিটি ঘোষণার দ্বায়িত্বে থাকা একটি অংশ। গত ৩০ আগস্ট কথিত এক যুবদল নেতার বাড়ি খানপুর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় লেনদেন করা হয় বলে দাবী করেছেন তারা। এর আগেও কমিটি ঘোষণা নিয়ে একাধিক নেতার বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছিল।
তারা আরও বলেন, দলের এই ক্রান্তিলগ্নে যদি দলের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা না হয়, অর্থের বিনিময়ে সুবিধাভোগীদের সুবিধা দেওয়া হয় এভাবে দলের সাংগঠনিক কাঠামো আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে দলটি শীঘ্রই জাসদ-বাসদে পরিনত হবে বলে মনে করেন নেতারা। ত্যাগী নেতা কর্মিদের দাবী নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের সুতিকাগার। এ জেলায় আন্দোলন হলে সেটি গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তাই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার বিরোধী আন্দোলন সার্থক করতে এ জেলায় ধান্ধাবাজ নেতাদের সরিয়ে দিয়ে ত্যাগী নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে একটি গ্রহন যোগ্য কমিটি উপহার দেয়ার আহবান জানান।
নেতারা আরও বলেন, ঢাকা বিভাগীয় টিম নারায়ণগঞ্জের কমিটি গঠনের পূর্বে তারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা স্থানীয় এমপি সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে খসড়া কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দিলেও কতিপয় অসাধু লোকের কারণে কমিটি ঘোষনা আটকে আছে। সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দ্রুত ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ণ করে গ্রহণযোগ্য কমিটি ঘোষণার দাবি করেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।