নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারী করোনা নারায়নগঞ্জে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় ইতিমধ্যে আতঙ্কের শহরে পরিনত হয়েছে। করোনা চিকিৎসায় নির্ধারিত কোন হাসপাতাল না থাকায় নারায়নগঞ্জবাসীর উদ্বেগের কমতি ছিল না। নারায়নগঞ্জবাসীর করোনা নিশ্চিত করতে বুধবার গনমাধ্যমের মাধ্যমে নারায়নগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে করোন চিকিৎসা হাসাপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারন করা প্রস্তাব দেন নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সেলিনা আইভি।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যা সারা দেশের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার দিক থেকে ঢাকার পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। ফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে রোগীদের ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। ফলে নারায়ণগঞ্জ থেকে রোগীদের নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া আরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এসব কথা চিন্তা করে সরকার নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে চিকিৎসা কেন্দ্র করার ঘোষণা দেয়। যেহেতু মেয়র আইভী নিজেও একজন ডাক্তার এবং সরকার দলীয় ডাক্তারদের সংগঠন স্বাচিপের একজন নেতা তাই তার এই প্রস্তাবটি দ্রুত গ্রহন করে খানপুর হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ করোনা হাসপাতালে রুপান্তরের স্বিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মুহম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য খানপুর তিনশ শয্যা হাসপাতালকে বেছে নেয়া হয়েছে। এখন থেকে এই হাসপাতালে আর কোনো রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হবে না। বর্তমানে যে সকল রোগী এখানে ভর্তি আছেন তাদেরকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। নতুন অন্য সব রোগীকে জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হবে। শুধ মাত্র করোনা রোগীদের জন্য ৩০০ শয্যা হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ মোট ৪৩ জন। তাঁরা আইইডিসিআরের অধীনে চিকিৎসাধীন। নারায়নগঞ্জের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনসহ শীর্ষ কর্মকর্তারাও চলে গেছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে।