নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে অন্যান্য খাতের মতো স্থবিরতা নেমে এসেছে শিক্ষাখাতেও। অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে সেটি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে, এ নিয়ে শুরু থেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের ছদ্মাবরণে টাকা হাতিয়ে নিতে এসব করা হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেয় দেশের বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আন্দোলন করার কথা বলেও স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই অবস্থায় অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া কোনোভাবেই বোধগম্য নয় বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের এসব দাবির সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেছে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি, মাহবুবুল ইসলাম অশ্রু জানান, বাংলাদেশ আইন ছাত্র পরিষদ অতীতের মতো সবসময় সাধারণ ছাত্রদের পাশে আছে। করোনাসৃষ্ট দুর্যোগে অনলাইন ক্লাস ও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাতে ছাত্রদের অনীহা থাকায় আমরা চাই ক্লাস, পরীক্ষা এখন না হোক।
তিনি আরো বলেন, “এছাড়া, নতুন সেমিস্টারের কার্যক্রম শুরু ও ভর্তি ফি আদায়সহ যে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়েছে তার খরচ অনেকের পক্ষেই বহন করা এখন সম্ভব নয়। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা “বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ” কোনোভাবেই তা সমীচীন মনে করেনি বলেই প্রথম থেকে এ সিদ্ধান্ত পুনবিবেচনার দাবি জানিয়ে এসেছি এবং বর্তমানেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশা রাখতে চাই কতৃপক্ষ ছাত্রদের এই দাবি মেনে নিবে।”
এই বিষয়ে ইউজিসির স্পষ্ট নীতিমালা কিংবা বক্তব্য আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত আমরা গ্রহণ করব এবং সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকব বলে জানান বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ।