ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী : মুক্তিযোদ্ধার ভাতার অপেক্ষায় ৯ বছর পেরিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভার বিধবা রাজিয়া। কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পান্ডুলের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী ওই বিধবা। অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান পাইনি ০৯ বছরে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী বিধবা রাজিয়া গনমাধ্যমকে জানান, গত ১১ অক্টবর ২০১১ তারিখ তার স্বামী মারাযান। তার পর চারঘাট পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে কুঠিপড়া গ্রামের বড় ভাই এর পরিত্যাক্ত বাড়িতে চলে আসেন। বিধবার পরিবারের কেউ না থাকায় দিনমুজুরের কাজ করে তার জীবন চলছে। মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকার সমাধানের আশায় গত ২৯ জুলাই ২০১২ তারিখে পরিচালক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট, কুড়িগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপক সোনালী ব্যাংক উলিপুর শাখায় আবেদন করেন। কিন্ত কোন সমাধান পাইনি ৯ বছরেও। তিনি আরো বলেন, তার স্বামী পুলিশের চাকুরী করতেন। মৃর্ত্যুর আগে তিনি অবসরে আসেন। এরপর থেকেই পেনসনের টাকা গুলোও বন্ধ আছে।
উলিপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফয়জার হোসেনকে এবিষয়ে একাধিকবার জানালেও তিনি কোন কর্ণপাত না করে অসাদু কৌশলে মৃত আব্দুল জলিলের ৩য় স্ত্রীকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকার সুবিধা করে দেয়। যা গত ৯ বছর যাবত সুবিধা ভোগ করছে ৩য় স্ত্রী রাহেবা খাতুন।
এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফয়জার হোসেন বলেন, তার হাতে কোন ক্ষমতা নেই। তাছাড়া ভাতার টাকার বিষয়ে তিনি কাউকে সহযোগিতা করেনি। অপরদিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিছুই জানেন না। ইউএনও নুরু-এ-জান্নাত রুমি পত্রিকাকে বলেন, যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক সিন্ধন্ত নেয়া হবে।