নিজস্ব প্রতিবেদক: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল ছাত্র-ছাত্রী পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। একটি হোটেলে তারা দুপুরের খাবার খান, কিন্তু বিল দিতে গিয়ে দেখতে পান, যে মেন্যু বুক দেখে তারা খাবার অর্ডার করেছিলেন তার থেকে মূল্য বেশি দেখিয়ে বিল করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা মেন্যুতে উল্লেখিত দামের চেয়ে বেশি টাকা দেবে না বলে জানায় অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে হোটেল মালিক মেন্যুতে উল্লেখিত দামের চেয়ে বেশি টাকা ছাড়া বিল নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে সেখানে মৃদু হট্টগোল তৈরি হয়। এমন তথ্য জানিয়ে আইনী সহায়তা চেয়ে একজন ছাত্র ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন ৫ অক্টোবর ২০২৩ বৃহষ্পতিবার দুপুর তিনটায়।
কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল আনিসুর রহমান। কনস্টেবল আনিস তাৎক্ষনিকভাবে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশে বিষয়টি আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ডিসপাচার এএসআই সাইফুল ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং কলারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশী তৎপরতার খোঁজখবর নিতে থাকেন।
সংবাদ পেয়ে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতিতে হোটেল মালিক খাদ্যতালিকায় উল্লেখিত দামের সমপরিমাণ টাকা নিতে রাজি হয় এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে। এ বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা লিখিত অভিযোগ দিতে রাজি না হওয়ায় হোটেল মালিক থেকে ভবিষ্যতে অতিরিক্ত বিল না নেয়ার বিষয়ে মুচলেকা নিয়ে বিষয়টির সমাধান করা হয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ দলের এএসআই সায়াতুল ইসলাম ৯৯৯ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।