নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এক পুলিশ সদস্যের অস্ত্র থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে এক রাউন্ড গুলি বের হওয়াতে থানায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এতে থানার আশপাশে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ। পুলিশের নিরাপত্তা জোর করার কারণে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা ও আগানগর এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে মডেল থানায় এঘটনা ঘটে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, থানার ভিতরে থাকা এক পুলিশ সদস্যের অস্ত্র থেকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একটা বুলেট বের হয়। হঠাৎ গুলির শব্দে বাহিরে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা সামান্য আতঙ্কিত হয়ে পরে। তাৎক্ষনিকভাবে থানা কর্তৃপক্ষ সেই পুলিশ সদস্যকে আটক করে। এদিকে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে আটকের পর মডেল থানায় হামলা হতে পারে ভেবে থানা এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করে। থানা এলাকার আশপাশ ও রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এলাকার সকল লোকজনকে মাইকিং করে যার যার ঘরে অবস্থান করতে বলেন। থানা রোডের বাসিন্দা মোঃ মাহবুব জানান, আমি সন্ধ্যায় ইফতারি শেষে রাস্তায় বের হই, তখনো সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। পরে তারাবির নামাজ পরতে মসজিদে গেলে কিছুক্ষন পর বাসাথেকে আমাকে ফোন দেয় বাসাথেকে জানান হঠাৎ থানার ভিতর থেকে গুলির শব্দ। আমি মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখি রাস্তায় পুলিশ অবস্থান করছে। সবাইকে বাসায় গিয়ে অবস্থান করতে বলছে। এলাকার সব মানুষ আতঙ্কে আছে।
এদিকে রাত ১২ টার দিকে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার মডেল থানা পরিদর্শন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান,হেফাযত ইসলামের যুগ্ম মহা সচিবকে আটকের পর আমরা থানায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। যেনো কোন প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে না পারে।
তিনি আরো বলেন, তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে এক পুলিশ সদস্যের অস্ত্র থেকে এক রাউন্ড গুলি বের হয়েছে বলে স্বীকার করেন বলেন তিনি দক্ষ না তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে পুলিশ সদস্যের আটকের ঘটনা তিনি অস্বীকার করেন।#