প্রাইমটিভি অনলাইন(বাংলা) ঃ রাজধানী ঢাকার দক্ষিন কেরানীঞ্জের বেয়ারা এলাকায় ধর্ষনের পর হত্যার অভিযোগে ২দিন পরে নিহত শিশুর পরিচয় মিলেছে। নিহত হতভাগীর নাম সাদিয়া আকতার ,বয়স ১০ বছর।পিতার নাম রফিকুল ইসলাম।নিহত সাদিয়ার পরিবার ঢাকার পূর্ব রামপুরা ২৪৮/৭ টিভি লিংক রোডের একটি ভাড়া বাসায় থাকতো।তার গ্রামের বাড়ী পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার ঘটিচোরা গ্রামে।
নিহত সাদিয়ার বাবা জানান,গত শুক্রবার রাতে সে নানার বাসায় যাওয়ার কথা বলে আর বাসায় ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তারা শনিবার জানতে পারে ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের বেয়ারা এলাকায় একটি অজ্ঞাত কন্যা শিশুর লাশ পাওয়া গেছে,এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে গিয়ে সাদিয়ার মরদেহ শনাক্ত করি।পরিবারের অভিযোগ রামপুরা এলাকার ইন্টারনেট কর্মচারী সূভ (১৯)নামের এক যুবক জোর করে তুলে নিয়ে সাদিয়াকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার দুপুরে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বেয়ারা মুসলিম নগর এলাকা থেকে ওই শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ক্রাইম টিম।
নরম ঘাসের উপর ছোট্ট নিথর রক্তমাখা দেহটা দেখে উৎকণ্ঠা-উদ্বেগ এলাকাবাসীর চোখেমুখে। গত কয়েক দশকেও এমন পৈশাচিক ঘটনা দেখেনি তারা। হৃদয় বিদারক এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান এলাকাবাসী।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে শিগগিরই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে শনিবারই ঘটনাস্থল থেকে ঘাতকের রক্তমাখা জামাসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি ও লাশ ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকের কলেজ মর্গে প্রেরন করে।
এ ব্যপারে রামপুরা থানার এস আই মুকুল জানান,হত্যার অভিযোগে সন্দেহভাজন ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ দক্ষিন থানার এসআই সাক্রাতুল জানান থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে।