পারিবারিক কলহের জের ধরে বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর উপর থেকে নদীতে ফেলে কানিজ ফাতেমা (৩৫) নামে বউকে মেরে ফেলার অফিযোগে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
রোববার সকাল ১১টায় বুড়িগঙ্গা নদীর হাসানাবাদ এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, শনিবার রাতে স্ত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে পোস্তগোলা সেতুর উপর নিয়ে আসে স্বামী রিপন। কথা বলার এক পর্যায়ে বউকে ধাক্কা দিয়ে নদী ফেলে দেন রিপন। এসময় আশপাশের লোকজন ঘটনাটি দেখে ফেলে এবং রিপনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিপনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পাশাপাশি ফাতেমার সন্ধানে স্বজনদের নিয়ে সারারাত নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। সকাল ১১টার দিকে ফাতেমার মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পুলিশ ও মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে ফাতেমা ও রিপনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তারা ৬০/৬১ মিলব্যারাক কেবি রোডে রিপনদের নিজ বাড়িতেই বসবাস করতেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও তাদের কোন সন্তান হয়নি। পারিবারিক কলহ ছিলো তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী।
শনিবার সন্ধ্যায়ও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে রিপন বেড়ানোর কথা বলে ফাতেমাকে নিয়ে পোস্তখোলা সেতুর উপরে আসেন। এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে সেতুর উপর থেকে স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে নদী ফেলে দেয়। পথচারীরা ঘটনাটি দেখে ফেলে এবং রিপনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান জানান, বউকে নদীতে ফেলে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করে রোববার রিপন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট বোন রিফাত ফাতেমা বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।