শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ মামলা হচ্ছে ,পুলিশি প্রহরা চলছে, মোবাইল কোর্ট ঘুরছে তবুও মানুষ কারণে অকারণে বাইরে বের হচ্ছেই। ১৪ এপ্রিল থেকে ৭দিনের কঠোর লক ডাউনের সময় সীমা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। আগামী ৭দিনের জন্য সরকার আবার লক ডাউন ঘোষনা করেছে। প্রথম লক ডাউন শুরুর প্রথম এক-দু দিন কিছুটা কড়াকড়ি বোঝা গেলেও আস্তে আস্তে পাল্টে যেতে থাকে পরিস্থিতি। তখন থেকেই শেরপুরে চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন। মূল শহরের দোকান পাঠ কিছু বন্ধ থাকলেও উপশহর ও গ্রাম গুলোতে চলছে বেচাকেনার ধুম। এখন বড় দোকান গুলোও আড়ালে আবডালে অর্ধেক দোকান খুলে ব্যবসা চালাচ্ছে। আর বাজার গুলো এখন উপচে পড়া ভীড়। প্রধান সড়কসহ অলিগলি রিক্সা ও ব্যাটারীচালিত অটো রিক্সার দখলে। দুপুরের আগে ও বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের সর্বত্রই ভীড়ের কারণে হাঁটাই দায় হয়ে যায়।যে যার মত করে নিয়ম ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। শেরপুরের বিভিন্ন এলাকা ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে স্বাস্থ্যবিধি লংঘন যেনো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে । ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশের গাড়ী দেখলেই দোকানপাঠ বন্ধ ও ভীড় কিছুটা কমে যায়। চলে গেলে সেই সাবেক অবস্থা। এটাকে অনেকটা চোর পুলিশ খেলার মত বিষয় বলছেন অনেকেই। মানুষকে লক ডাউনের মধ্যে রাখতে সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা আছে তবে আগের মত তৎপরতায় তীব্রতা নেই। লক ডাউন মানাতে ও মানুষের পাশে দাঁড়াতে রাজনৈতিক দল,সামাজিক সংগঠন,ব্যক্তি পর্যায়ের তৎপতা নেই। তবে এই লক ডাউনে সামাজিক দূরুত্ব তেমন মানা সম্ভব না হলেও মানুষের মার্স্ক পড়ার প্ররণতা বেশ বেড়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের তৎপরতাও চলছে নিয়মিত।
জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদারতের সমন্বয়কারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদুল হাসান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিধি ও সরকারি নির্দেশনা না মানার কারনে ভ্রাম্যমান আদালত জেলায় (১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল ) সাতদিনে ২৬২ টি মামলায় ১লক্ষ ৭০ হাজার নয়শ ৫০টাকা আদায় করেছে।সদর উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন জানিয়েছেন প্রশাসনের তৎপরতার তীব্রতার ঘাটতি নেই। মানুষ সচেতন হচ্ছে না।