নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রবাসী ও রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সমস্যা সমাধানে শীঘ্রই “প্রবাসী কল্যাণ সেল” গঠন হবে বলে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী,এমপি। জাতীয় পর্যায়ে, বিভাগীয় পর্যায়ে, জেলা পর্যায়ে ও উপজেলা পর্যায়ে পৃথক পৃথক কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ সেল প্রবাসীদের সমস্যা তড়িৎগতিতে সমাধানে সর্বদা তৎপর থাকবে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে লেশন লার্নিং ফরম দ্যা স্ট্রেঞ্জথেন এন্ড ইনফরমেটিভ মাইগ্রেশন সিস্টেম (এসআইএমএস) প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হ্যালভেটাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বেনঞ্জামিন ব্লুলু মেন্থালের সভাপতিত্বে পার্লামেন্টারী ককাসের সদস্য তানভীর শাকিল জয়,এমপি, জনশক্তি কমর্সংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, বিভিন্ন এনজিও এর প্রতিনিধিসহ অন্যান্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ পুরাতন আমলের যন্ত্রপাতি দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া তা নতুন প্রজন্মের কাজে লাগছে না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে আধুনিক যুগোপযোগি যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র প্রবাসীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেই হবে না, প্রশিক্ষকদের ও প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তির সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আমি আশা করছি, আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে কিছুদিনের মধ্যে আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ ঢেলে সাজাতে সক্ষম হবো।
বিএমইটির ট্রেনিং প্রসঙ্গে প্রতিনিধিদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএমইটির মাধ্যমে মাত্র তিনদিনের প্রি-ওরিয়েন্টেশন কোর্স করা হয়। দ্রুত এটা আরো বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের মোটিভেশন কাজ করতে হবে। তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমাদের, বুঝতে হবে কেন মানুষ বিদেশে যেতে চায়? বাংলাদেশে শিক্ষার হার বেড়েছে। সবাইকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিশ্চিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেস্টা করছে। তারপরও আরো কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নাই।
প্রবাসীদের কল্যাণে সরকার কি কি করছে তা জনগণ জানতে পারে না বলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেয় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। কল্যাণ বোর্ড প্রবাসীর পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সুদৃঢ় করণের লক্ষ্যে তাদের প্রতিবন্ধী সন্তানদের উন্নয়নে ও সহায়তায় ভাতা দেওয়া হয়। যা প্রবাসীর পরিবারের অর্থবহ ও টেকসই কল্যাণ নিশ্চতকল্পে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, মানুষকে জানতে হবে তাদের জন্য কি ধরণের সুযোগ সুবিধা আছে। বিদেশে যাওয়ার পরে তাকে কি করতে হবে, বিদেশে সে কিকি সুযোগ সুবিধা পাবে।দেশে ফেরত আসার পরে তার কিকি সুযোগ সুবিধা আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহতী উদ্যোগ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসীদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
সভায় বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিদের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের বক্তবে আমার অন্তরের কথা ফুটে উঠেছে। আপনাদের পরামর্শ যাতে কাজে লাগাতে পারি সে দিকে লক্ষ্যে রেখে আমরা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করবো।
সভায় এসআইএমএস প্রকল্পের মাধ্যমে অভিবাসী সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। এসকল প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে করণীয় নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উপর জোর দেন এখাতের সংশ্লিষ্ট এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ।