শনিবার থেকে শুরু শোকের মাস আগস্ট : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শোকের মাস আগস্ট শুরু আগামীকাল শনিবার থেকে। ঘাতকরা এ মাসের ১৫ তারিখ সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সেই থেকে দিনটি মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত শোকের দিন। প্রতি বছর আওয়ামী লীগসহ পুরো জাতি আগস্ট মাসকে শোকের মাস হিসেবে পালন করে। এবার শোকের মাসে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।

জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না। সর্দি-কাশি- জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়েও অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে না। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সবাইকে নিরাপদ রাখতে এমন নির্দেশনা সংবলিত নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল পালনে পৃথক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সভা-সমাবেশে সবাইকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নির্দেশনায় শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা ও নির্দিষ্ট করতে হবে। শ্রদ্ধাজ্ঞাপন স্থানে একসঙ্গে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন না। আগত ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট দূরত্ব (তিন ফুট/কমপক্ষে দুই হাত) বজায় রেখে লাইন করে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে বেরিয়ে যাবেন।

সম্ভব হলে পুরো পথ পরিক্রমাটি চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করতে হবে। সমাবেশ আসা সবাইকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া সর্দি-কাশি-জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে কাউকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ না করতে বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানস্থলে হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু ও বর্জ্য ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ঢাকনাযুক্ত বিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জরুরিভাবে তা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সব নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

নির্দেশনায় আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল করার ক্ষেত্রে জনসমাগম যথাসম্ভব কম রাখতে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থল বা কক্ষের আয়তনের ওপর লোকসংখ্যার উপস্থিতি নির্ধারণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে আসা সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মাস্ক ছাড়া কেউ এলে তিনি যেন অংশগ্রহণ করতে না পারেন। প্রবেশপথে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সম্ভব না হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অনুষ্ঠানস্থলে একজন থেকে আরেকজনের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বসার স্থানটি নির্দিষ্ট করতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title