রাজাকার পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বহাল (পর্ব-০১)

নিজস্ব প্রতিবেদক : সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান। ব্যতবস্থাপনা পরিচালক, সাধারন বীম কর্পোরেশন এবং একটি প্রসিদ্ধ রাজাকার পরিবারের সদস্যপ। রাজাকার পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও সরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতা বিরোধী আর্দশ প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করায় ফুসে উঠছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিযোগ, পদাধীকার বলে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হওয়ায় স্বাধীনতা বিরোধী উদ্দেশ্যা প্রতিষ্ঠিত করা স্বাধীনতার পক্ষে শক্তি নিয়ন্ত্রন করতে প্রতিনিয়ত স্বাধীনতা বিরোধীদের বিশেষ সুবিধা দেন তিনি। কিন্তু তার নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেটের কারণে বঙ্গবন্ধুর আর্দশে বিশ্বাসী স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিরা বহুদিন যাবৎ তার এই সা্ম্প্রদায়িকতা আর্দশের বিরোধীতা করে আসলেও তার সিন্ডিকেট এতটাই প্রভাবশালী যে তারা পেরে উঠতে পারছে না।
তারা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের মাধ্যেমে সাধারন বীমা কর্পোরেশ এর একাধিক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। যেই সিন্ডিকেট এর মাধ্যণমের দীর্ঘ দিন যাবত সাধারন বীমা কর্পোরেশন শোষন করে আসছেন। তাদের দাবি, সারাদেশে বঙ্গবন্ধু কন্যাি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন হলেও,ব্যবস্থাপন পরিচালক ও তার সিন্ডিকেটের সাম্পদায়িক নীতি ও কুটকৌশলের কারণে সাধারন বীম কর্পোরেশন সেই পূর্বের অবস্থায় রয়েছে। তাই সাধাবরন বীম কর্পোরেশন দ্বায়িত্বশীল পদ থেকে রাজাকার পরিবারের সদস্য চিহ্নিত করে এবং সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নিকট যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এসমস্ত অভিযোগ এর বিষয়ে তার পৈত্রিক ভূমি রাজধানীর লালবাগ এলাকায় খোজ নিলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, সৈয়দ আবু নসর জিয়াউল আহসান অর্থাৎ বাংলাদেশ বীমা কর্পোরেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান এর চাচা ছিলেন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সাবেক স্পিকার । ১৯০৬ সালে ঢাকায় নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠায় নবাব পরিবারের বাইরে যে কজন মুসলিম নেতা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা শহরের নাজিম উদ্দিন রোডে হাসিনা মঞ্জিলে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ আবু নসর জিয়াউল আহসান। তবে তার পৈতৃক নিবাস ফরিদপুরের মধুখালীর বনমালদিয়াতে। পরে তারা বরগুনা জেলার বামনাতে স্থায়ী বসতি গড়েন। সৈয়দ আবু নসর জিয়াউল আহসান নিউ গভ: হাইস্কুল থেকে ১৯৪০ সালে ম্যাট্রিক ও ১৯৪২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে অনার্স করার পর এলএলবি ডিগ্রি নেন। সৈয়দ আবু নসর জিয়াউল আহসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৪২-৪৪ ফজলুল হক হলের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫৪ সালের পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বাকেরগঞ্জ-২ (বামনা-কাঁঠালিয়া-ভাণ্ডারিয়া) আসন থেকে জয়লাভ করেন। পরে তিনি মুসলিম লীগ সংসদীয় দলে ডিপটি লিডার হিসেবে যোগদান করেন। তখনকার পার্লামেন্টে আওয়ামী লীগ ও কৃষক শ্রমিক পার্টির নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে সব সময় অস্থিতিশীলতা বিরাজ করত। যে কারণে উভয় দলের পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায় ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী প্রথমে আহত হন পরে তার মৃত্যু ঘটলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে সৈয়দ আবু নসর জিয়াউল আহসান সর্বসম্মতিক্রমে স্পিকারের পদে আসীন হন। যারা পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীম সময় পাকিস্তানের পক্ষে এবং যে পরিবার স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্বীকার করে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও, নিজেদের বাসভবনে পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে রাখত এমন একটি পরিবারের সদস্যকে রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠানের এতো বড় একটি দ্বায়িত্বে আছেন জানতে পেরে ক্ষোভ নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা শহরের নাজিম উদ্দিন রোডে হাসিনা মঞ্জিল বসবাসরত সাধারন জনগণ।
এ বিষয়ে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নাই।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title