রাজশাহী ব্যুরো : যশোরের পরে এবার রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলায় যুবকদের কান ধরিয়ে শাস্তি দিলেন ইউএনও মহাসীন মৃদা। স্থানীয় গনমাধ্যমের সাংবাদিকরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সারাবিশে^ যখন হোম কোয়ান্টাইন, হাত ধোয়া, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করাসহ নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ চলছে। বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্ত প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহীনির কিছু কর্মকর্তার ক্ষমতার শো-ডাউনে উদ্বিগ্ন সাধারন মানুষ।
করোনা সচেতনায় লাঠি পেটা বা কান ধরিয়ে শাস্তি দেয়া নয়- বুঝাতে হবে জানাতে হবে বলে জানান সিটি মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামন লিটন, বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ন কবির, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি একেএম হাফিজ আক্তার, জেলা প্রশাসক হামিদুল হক এবং পুলিশ সুপার শহিদুল।
এদেশে এখনও বড় অংকের খেটে খাওয়া, দিন মুজুর এবং অক্ষর জ্ঞান সর্ম্পূন মানুষ করোনা ভাইরাস বিষয়ে অজ্ঞ। জেলা শহর গুলোতে এখনও অনেক নিম্নবৃত্ত, মধ্যবৃত্ত এবং বৃত্তবান পরিবারের সমাগম তেমন না থাকলেও মফস্বলে তার চিত্রটি উল্টো। ক্ষূদার তারনায় কাজের খোঁজে বা পারিবারিক কোন প্রয়োজনে একাংশ মানুষ ঘরের বাহিরে যাচ্ছে। কিন্ত একটু কষ্টের ত্যাগে করোনা ভাইরাস থেকে বেঁচে যেতে পারে কিন্ত অনেকের মাঝে সেই হিতাহীত জ্ঞানটি কিছু সময়ের জন্য লোপ পাচ্ছে।
রাজশাহী জেলাও একই কর্মসূচী চলমান রয়েছে। গতকাল শনিবার জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় কিছু যুবককে কান ধরিয়ে উঠ বস করিয়ে শাস্তি দিয়েছেন ইউএনও। এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মহাসীন মৃদা বলেন, তার নেতৃত্বে ৪টি দল কাজ করছে। অভিযানে লক্ষ করা যাচ্ছে মানুষের মাঝে ব্যাপক অসচেতনা বিরাজ করছে। ঘরের বাহিরে থাকতে তারা স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে। যার দরুন প্রাথমিকভাবে কান ধরিয়ে শাস্তিসহ কঠর পদক্ষেপ গ্রহন করছেন।
সম্প্রতী যশোহর জেলায় অনাকাঙ্খিত ঘটনায় দেশের সমগ্র প্রশাসন লজ্জিত। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয়। তদুপরি ক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে দেশ ও জনগনের জানমালের রক্ষায়। কিন্ত নির- অপরাধিকে শাস্তি দিয়ে নই। সরকারী দপ্তরের বিভিন্ন পদস্ত কর্মকর্তাগন করোন ভাইরাস মোকাবেলা কোভিড-১৯ এর বিভিন্ন প্রচারণাসহ লকডাউন, হোম কোয়ান্টাইন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক বিতরণ, স্প্রে করা হচ্ছে। ওই সময় এলোমেলভাবে অনেক মানুষকে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। তাদেরকে সচেতন করতে হবে। কিন্ত অপমানিত কোন কর্মসূচী প্রয়োগ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।
বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে দেশের সরকারী সকল দপ্তর জনগনের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা প্রদান করতে হবে। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক দেশের জনগন কষ্ট পাবে এটা সংবিধানের বহিঃভুত নয় বলে জানান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন।