নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো মহল যাতে কোনো ধরনের ইস্যু তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর নির্বিঘ্নে উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
আইজিপি বলেন, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত করে কেউ যেন বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। তিনি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
এ সময় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সম্ভাব্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্ভব সংক্রান্ত বিষয়, বাজার মনিটরিং, শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন।
সভায় পুলিশ প্রধান বলেন, শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি না হয় সেজন্য শিল্প পুলিশকে তৎপর থাকতে হবে।
রমজানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যেন কোনো ধরনের নাশকতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন আইজিপি। তিনি ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি প্রতিরোধে নিয়মিত টহল জোরদার করারও নির্দেশনা প্রদান করেন।
আইজিপি বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল রোধ এবং রাস্তার উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। তিনি এ লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রহণের জন্য হাইওয়ে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন।
মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, রমজানে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইফতার, তারাবি এবং সাহরির সময় বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা সবাই সতর্ক থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদ নিরাপদে নির্বিঘ্নে উদ্যাপন করতে সক্ষম হব।’
সভায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিরিক্ত আইজিপি এবং ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সকল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এবং রেঞ্জ ডিআইজিরা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।