ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় অবৈধ পুকুর খননে উৎসবে মেতে উঠেছে আ’লীগের অঙ্গ সংঘঠনের নেতা। স্থানীয় কৃষকদের জিম্মি করে প্রায় ৫শত বিঘা কৃষি জমি পুকুরে পরিনিত করেছে দলিয় সিন্ডিকেট। স্থানীয় বিভিন্ন দপ্তরে সঠিক বিচার না পেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি অভিযোগ দাখিল করেছে ভুক্তভোগী কৃষক এবং সচেতন ব্যাক্তিরা।
রবিবার দুপুরে মোহনপুর উপজেলার ৩৫জন কৃষক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দিয়েছে। অভিযোগ সূত্রমতে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং উপজেলার ১ নং ধুরইল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর এবং আ’লীগ সভাপতি অবৈধ পুকুর খননের মূল হোতা। দলিয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দিনের পর দিন পুকুর খনন করে বিএনপি এবং জামায়াত দলের সর্মথকদের টেন্ডার দিচ্ছে। যা থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করছে তারা। তাদের এই সিন্ডিকেটে জিম্মি হয়ে পড়েছে স্থানীয় কৃষকরা। ইতোপূর্বে তারা প্রায় ৫শত বিঘা জমিতে ৮ থেকে ১০টি পুকুর খনন করেছে। বর্তমান চলামান রেখেছে তাদের নৈরাজ্য। এই পুকুর খনন ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে চাষবাদের জন্য কৃষি জমি থাকবে না।
ভুক্তভোগীরা বলেন, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরকে উৎকোচ দিয়ে পুকুর খননের সিন্ডিকেট চলমান রয়েছে। স্থানীয় দরিদ্র কৃষকরা প্রতিবাদ করতে গেলে মাদকাশক্ত কিশোর গ্যাং বাহিনী দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে ভয়ভীতি প্রর্দশন করছে। বর্তমান কিশোর গ্যাং এর পাহাড়ায় বেশ কয়েকটি পুকুর খনন চলমান রয়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও কৃষকদের চাষাবাদে বাধাঁ হচ্ছে। এছাড়া মোহনপুর এলাকর অর্থকারী ফসল পান বরজসহ বিভিন্ন ফসলী জমি ও বসত বাড়ির জনসাধারনের চলাচলের বিরুপ প্রভাবসহ অতি বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে সরকারী বিদ্যালয় ও কয়েকটি গ্রাম।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলে, ওই কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ইতোপূর্বে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং উপজেলার ১ নং ধুরইল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর এবং আ’লীগ সভাপতি কিশোর গ্যাং দিয়ে বেশ কয়েকবার পুকুর খননে উদ্দ্যেশে মারামারি সংঘটিত করেছে। এই সংক্রান্ত রাজশাহী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা রুজু করা হয়।
জেলা আদালতের মামলটি (১৪৪পি/২০২০) আমলে নিয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানাওয়ার হোসনে এবং সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাহিদ বিন কাশেম থানার ওসিকে ১৪৪ ধারা জারি করে আগামী ২৭ জানুয়ারী ২১ তারিখ পর্যন্ত নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্ত তাদের সিন্ডিকেট বন্ধ নেই, অন্যত্র চলমান রেখেছে পুকুর খনন। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উদাশিনতায় মোহনপুরসহ জেলার ৯টি উপজেলার অবৈধ পুকর খনন অব্যহত রয়েছে।
পুকুর খনন বিষয়ে কৃষি দপ্তর জানান, পুকুর একটি কৃষি কিন্ত একটি জন্য অন্যটির ক্ষতি হোক এটা কাম্য নই। মাছে ও ভাতে বাঙ্গালি এই প্রবাদে নিয়ে মৎস্য চাষে এই দেশ বিশে^ দ্বিতীয়। কিন্ত এক শ্রেনী অসাধু ব্যবসায়ীরা আবাদী জমি নষ্ট করে পুকুর খননে মেতে উঠেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এর প্রতিরোধ করা সম্ভব।