ফরিদপুর :: দেশ ব্যাপী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত ভাইরাজ সংক্রমন রোধ কল্পে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত কল্পে “আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০ (অধ্যাদেশ নং ১২০২০০) ও মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত ৩০/০৫/২০২০ তারিখের বিজ্ঞপ্তি নং ২০৩০ মোতাবেক বিশেষ প্রাকটিস নির্দেশনা অনুসরন করত” আগামী ১৫ জুন ২০২০ তারিখ পর্যন্ত তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম চলবে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল ভাঙ্গার চৌকী আদালতে (ভাঙ্গা-নগরকান্দা ও সদরপুর সমন্বয় আদালত) প্রথম জামিন শুনানী অনুষ্ঠিত হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ করে জরুরী কার্যক্রম যেমন, মোকদ্দমার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা, পারিবারিক জারী মোকদ্দমার ওয়ারেন্ট রিকল বা মুক্তি বিষয়ক (জামিন) বা আদালত যে বিষয়ে জরুরী মনে করেন সেই বিষয়ে শুনানী করার সিদ্ধান্তে আদালতের কার্যক্রম চলবে।
আদালতের উপনীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাঙ্গায় প্রথম বারের মত ভাঙ্গার বিজ্ঞ আইনজীবী নার্গিস সুলতানার সদরপুর পারিবারিক জজ আদালতে পারিবারীক জারী, ০২/১৯নং মোকদ্দমায় দায়ীক শেখ রহিমের পক্ষে বিজ্ঞ বিচারক আশীষ রায় (সদরপুর আদালত) এর নিকট আদালতে আজ মঙ্গলবার দাখিল করেন। আগামীকাল বুধবার বিজ্ঞ বিচারকের আদালতে এই শুনানী করবেন। এই শুনানী হবে ভাঙ্গায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে প্রথম জামিন শুনানী।
এরআগে বিজ্ঞ বিচারক আশীষ রায় সুপ্রীম কোর্টের উক্ত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এবং ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ শ্রদ্ধেয় সেলিম মিয়া সার্বিক দিন নির্দেশনায় সহকারী জজ আদালত সদরপুর (ভাঙ্গা চৌকি আদালত) ভার্চুয়াল শুনানী জগৎ সর্বপ্রথম প্রবেশ করেন। বিজ্ঞ বিচারক ও সদরপুর সহকারী জজ আশীষ রায় সাহেব ইতিপূর্বে দেওয়ানী জটিল পুরাতন মোকদ্দমা নিষ্পত্তি ও গুরুত্বপূর্ণ মোকদ্দমার অতিদ্রুত সমাধান দেওয়ায় সদরপুরের সাধারন জনগনের সুনাম অর্জন করেছে। সেই সাথে ভার্চুয়াল পদ্ধতির কার্যক্রম শুরু করে আইনী সেবা জনগনের দাড়গোড়ায় পৌছে দিয়েছে।
এদিকে ভাঙ্গায় প্রথমবারের মত ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতের অতীব জরুরী কার্যক্রম পরিচালনায় ভাঙ্গার সকল আইনজীবীদের মাঝে এক নতুন অভিজ্ঞতা ও অনুভুতি সঞ্চারিত হয়েছে বলে অভিমত অভিজ্ঞ আইনজীবী মহলের।