নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পূর্ব বিরোধেরে জেরে ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সকালে উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের মীরআলীপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন । এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফয়েজ আহমদের বোন হাসিনা বেগমকে ৬নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ির মৃত জয়নাল মিয়ার পুত্র মাসুদের কাছে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকেই ভাইয়ের প্রভাবে হাসিনা ওই বাড়ির বাসিন্ধাদের বিভিন্ন সময় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রায় সময় হাসিনা ও তার স্বামী মাসুদ বাড়ির লোকজনকে হুমকি ধমকি দিতো। এর জের ধরে সকালে মেম্বার ফয়েজ আহমদ, তার সহযোগী দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মীরআলীপুর নুরুল আমিন মাওলানা সাহেব বাড়ির আবু তাহেরের পুত্র সোহাগকে সাথে নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রে সর্জিত হয়ে চৌকিদার বাড়ির লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত তাজুল ইসলাম সুমন ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম সাথী বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় বাড়ির নারীদের শ্লীলতাহানীর করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় আহত ফাতেমা বেগম সাথী বাদি হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ইউপি মেম্বার ফয়েজ আহমদ, তার সহযোগী সোহাগ, আলমগীর, মেম্বারের বোন হাসিনা বেগম ও তার বোনের স্বামী মাসুদকে আসামী করে এজাহার দায়ের করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তবে অভিযুক্ত মেম্বার ফয়েজ আহমদের বোন হাসিনা বেগম ও তার স্বামী মাসুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি, সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদারের সাথে আলাপ করলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এজাহার পেয়েছি। সেকেন্ড অফিসার এনামুলকে তদন্তের দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে। প্রমানিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইয়াকুব নবী ইমন,
নোয়াখালী প্রতিনিধি