বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে দিনের আলোয় শিশু ধর্ষন ও রাতের আধাঁরে ঘরের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে রাজিব ও বেলাল নামের দুই লম্পটকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
পৃথক ঘটনা দুটি ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রাম ও সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া গ্রামে ঘটে।
থানা সুত্রে জানা যায়, ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার তিন সন্তানকে বাড়িতে রেখে তাদের বাবা মা গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে যায়। সন্ধ্যায় একই গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে বেলাল হোসেন ওই ছাত্রী বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রাত ১০ টার দিকে টিনের বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর পঞ্চম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রীর পাশে থাকা অপর দুই ভাই তাদের প্রতিবেশী মামা বেলাল হোসেনের লুঙ্গি টেনে ধরে চিৎকার শুরু করলে লুঙ্গি ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। খবর পেয়ে বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ওই ছাত্রীর বাবা বাড়িতে এসে বিষয়টি গ্রামের লোকজনসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানান।
এ বিষয়ে ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে সালিশ করা বেআইনী তাই ভুক্তভোগীদেরকে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে খবর থানা পুলিশ উপ পরিদর্শক সিয়াম হাসান ১৪ অক্টোবর দুপুরে ধর্ষণ চেষ্টাকারী বেলালকে উপজেলার ভবানীপুর বাজার থেকে গ্রেফতার করে থানায় আনে।
অপরদিকে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া গ্রামে দশ বছরের শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত রজিব শেখ (৪০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জয়লা জুয়ান গ্রামের বটতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রজিব শেখ শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া গ্রামের বাবলু শেখ এর ছেলে এবং দুই সন্তানের জনক।
উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে চকলেটে প্রলোভনে গত ১০ অক্টোবর একই এলাকার বাবলু শেখের ছেলে রাজিব শেখ (৩০) ধর্ষণ করে। একইভাবে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে ৩টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় রাজিব আবারও ধর্ষনের চেষ্টা করলে মেয়ের চিৎকার শুনে রাজিবকে ঘরের দরজা বন্ধ করে আটক করা হয়। পরে ধর্ষণকারী চাচিরা অভিযুক্ত রাজিবকে ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে সাহায্য করে। পরে থানায় মামলা হলে পুলিশের এসআই আলহাজ¦ উদ্দিন ১৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজিক নামের লম্পটকে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুটো ধর্ষণের ঘটনা মামলা ও অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ২জনকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেরপুর সার্কেল গাজিউর রহমান বলেন, উপজেলার পৃথক দুটি ধর্ষনের ঘটনায় রাজিব ও বেলাল নামের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।