ফরিদপুরে নিম্ন আদালতে জামিন পেলেন সাংসদ নিক্সন চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক :: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে জামিন দিয়েছেন জজকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ সেলিম মোল্লা এ আদেশ দেন।

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মামলাটি করে নির্বাচন কমিশন। গত ১৫ অক্টোবর চরভদ্রাসন থানায় মামলাটি করেন চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাংসদ নিক্সন চৌধুরী গত ৯ অক্টোবর সকালে মুঠোফোন থেকে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে ফোন করেন। সাংসদ নির্বাচনে অধিকসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, অধিকসংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের কারণে তাঁর প্রার্থী পরাজিত হলে মহাসড়ক অবরোধ করা হবে। এ ছাড়াও তিনি অশোভন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

গত  ১০ অক্টোবর নির্বাচনের দিন চরভদ্রাসন উপজেলার চর অযোধ্যা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এক ব্যক্তি আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে আটক হন। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ভাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই ব্যক্তিকে আটকের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় সাংসদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মুঠোফোনে কল করে সাংসদ আপত্তিকর বক্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এ মামলায় আট সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে অন্তর্র্বর্তীকালীন জামিন পান সাংসদ নিক্সন চৌধুরী। গত ২০ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও কে এম জাহিদ সরোয়ারের আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

আজ আদালতে নিক্সন চৌধুরীর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী শামসুল হক ভোলা মাস্টার। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেনি। পরে আদালত দুই হাজার টাকা মুচলেকায় সাংসদ নিক্সন চৌধুরীকে জামিন দেন।

জামিন পাওয়ার পর সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী বলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ওই নির্বাচন বাতিল হয়ে যাওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার গুরুত্ব হারিয়েছে কি না, আদালত সে বিবেচনা করবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে গতকাল ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় গত ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনটি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।  উল্লেখ্য ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ওই উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩–এর বিধি ৮৮ অনুসারে উপনির্বাচনটি বাতিল করা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title