নোয়াখালীতে দুই সাংসদের টিকা নেওয়ার মধ্য দিয়ে জেলায় টিকাদান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও কোম্পানীগঞ্জের আলোচিত নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা করোনার টিকা নিয়েছেন। আজ রোববার তাঁরা টিকা নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
টিকা নেওয়া দুজন সাংসদ হলেন নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ও নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিম।
আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের ২ নম্বর বুথে টিকা নিয়ে জেলায় টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। এ সময় তাঁর সহধর্মিণী কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলী সঙ্গে ছিলেন। তবে তিনি টিকা নেননি।
সাংসদ একরামুল করিম টিকা নেওয়ার পর জেনারেল হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে টিকা নেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, জেলা সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) জেলা শাখার সভাপতি চিকিৎসক ফজলে এলাহী খান। এই কেন্দ্রে দুপুর ১২টা নাগাদ প্রায় ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের ফোকাল পারসন ও চিকিৎসক নিরুপম দাশ।
জেলার চাটখিল উপজেলায় বেলা ১১টায় নিজের টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে টিকাদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিম। তিনি টিকা নেওয়ার পর সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম মোসা টিকা নেন। দুপুর ১২টার মধ্যে এই উপজেলায় প্রথম দিনের জন্য নির্ধারিত ২০ জনকে টিকা দেওয়া শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ।
অন্যদিকে, জেলার কোম্পানীগঞ্জে নিজে করোনার টিকা নিয়ে টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। এরপর সেখানে টিকা নেন ইউএনও, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও একজন মুক্তিযোদ্ধা। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।