নাটোর: বীরঙ্গনা হনুফা বেওয়া। নামের আগে বীরঙ্গনা খেতাবটি পেয়েছেন গত ২ বছর আগে। স্বামী মুক্তিযোদ্ধা আজিমুদ্দিন মারা গেছেন ১৯৯৩ সালে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বামী মুক্তিযোদ্ধা এ অপরাধে পাক বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায় তাদের ক্যাম্পে। সেখানে হনুফার উপর চলে পৈশাচিক নির্যাতন। সেখান থেকে জীবন বাজী রেখে তিনদিন পর পালিয়ে আসেন তিনি। দুই স্ত্রী থাকায় মুক্তিযোদ্ধা স্বামীর সরকারী ভাতা ভাগ হয় দুই ভাগে। সামান্য টাকা দিয়ে পঙ্গু সন্তান ও তার পরিবারের সদস্যদের দিন চলে অর্ধাহারে-অনাহারে। জরাজীর্ণ বাড়িতে কাটে তাদের দিন-রাত-বছর। নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি ইউনিয়নের কুমরুল গ্রামে মাত্র ৮ শতাংশ জমির উপর ছাপড়া টীনের ও পাটকাঠির বেড়া দিয়ে বসবাস করছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীর কাছে সর্বস্ব হারানোর ৪৭ বছর পর বীরঙ্গনা খেতাব পেলেও মেলেনি এখনও সরকারী ভাতা। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস তাকে ঘর দেয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন। এমপি পুত্র আশিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন কিনে দেন খাদ্য সামগ্রি। থানার ওসি দিলিপ কুমার দাশও ছুটে আসেন বীরঙ্গনা হনুফার বাড়িতে। তিনিও দুই মাসের খাদ্য ও নগদ টাকা প্রদান করেন। ইউএনও আনোয়ার পারভেজ জানিয়েছেন, বীরঙ্গনা হনুফার ভাতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।