নাগরপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলে নাগরপুরে সরকারি খাল দখল করে অবৈধ মাটির ট্রলি চলাচল করার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ট্রলি চলাচল বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরবার অভিযোগ দিয়েও পায়নি প্রতিকার।
গামবাসীর পক্ষে অভিযোগকারী বিমানবিাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার(অব) জুয়েলের দাবি, ধুবড়িয়া ইউনিয়ন ইউপি সদস্য আলতাফ ক্ষমতার দাপটে, আমাদের বেকড়া ইউনিয়নের ভালকুটিয়া গ্রামের সরকারি খালে মাটি ভরাট করে অবৈধ মাটির ট্রলি চালাচ্ছে। আর এসব ট্রলি দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া তিরছা গ্রামের তিনটি ইটভাটায়। নিসিদ্ধ এই ট্রলির যন্ত্রনায় গ্রামবাসী অতিস্ট হলেও, আলতাফের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না, আর কিছু মহলকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অদক্ষ চালক দিয়ে নিয়ন্ত্রিত এসব অবৈধ ট্রলি মাঝেই মাঝেই পল্লী বিদ্যুৎ এর খুটিতে আঘাত করে, যার ফলে পল্লী বিদ্যুৎ এর কয়েকটি খুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।যেকোন সময় খুটি ভেঙ্গে গিয়ে, গ্রাম বিদ্যুৎয়ায়িত হয়ে গ্রামবাসীর জানমালের বড় ধরণের ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। ট্রলি বন্ধের ব্যাপারে ১৫ই মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ড বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও, দীর্ঘ দেড় মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও ট্রলি বন্ধে কোন ইতিবাচক সাড়া পায়নি। ট্রলি বন্ধে কোন পদক্ষেপ না দেখতে পেয়ে, গত ১৭ এপ্রিল গ্রামবাসীরা নিজ উদ্যোগে ট্রলি বন্ধ করতে রাস্তার মধ্যে খুটি পুতে বাধা দিলে, আলতাফ তার প্রভাব খাটিয়ে নাগরপুর থানা থেকে পুলিশ এনে খুটি উঠিয়ে দেয়।
সরকারি খাল ভরাটের ব্যাপারে ইউপি সদস্য আলতাফ বলেন, আমার ব্যাক্তিগত পুকুর খনন করার জন্য আমি মাটি কাটছি, খাল ভরাট করেছি বর্ষা আসার আগমূহুর্তে খালটি খুলে দিব। আর লকডাউনের জন্য এখন ট্রলি বন্ধ আছে।
অবৈধ ট্রলির ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) তারিন মশরুর ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত-ই-জাহান এর সরকারি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় নাই।