নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ গত ১৮ এপ্রিল রবিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কুষ্টিয়া নয়াপাড়া গ্রামের আনন্দ শেখ (৫৫) কে, প্রতিবেশীর ৭ বছরের ১ শিশু ধর্ষণের মামলায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামি গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। পরে, ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতে, ধর্ষক আনন্দ এক স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে, থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়।
প্রতিবেশীর ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগে শিশুটির বাবার দায়েরের করা মামলার প্রেক্ষিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামি আনন্দকে গ্রেফতার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশের একটি চৌকস দল। গ্রেফতারের পর থানা পুলিশের কাছে ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলে, তাকে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য প্রেরণ করে থানা পুলিশ। আনন্দ শেখ, সখিপুর- নাগরপুরের বিজ্ঞ আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রুপন কুমার দাশ এর কাছে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, উপজেলার ধুবড়িয়া পূর্বপাড়ার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভুক্তভোগীর বাবা জানায়, ১৮ এপ্রিল (রবিবার) বিকেল আনুমানিক ৫.৩০-৬ টা এর সময়, প্রতিবেশী কুষ্টিয়া নয়াপাড়া গ্রামের মৃত যদুর শেখ এর ছেলে আনন্দ শেখ (৫৫) আমার ৭ বছরের শিশু কন্যাকে ফুসলিয়ে ভূট্টা ক্ষেতের পাশের নেইপিয়ার ঘাস ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষনরত অবস্থায় আমার মামী বিষয়টি দেখে ফেল্লে, ধর্ষক দৌড়ে পালিয়ে যায়।
সংবাদটি লেখার সময় পর্যন্ত জানা যায় , এখনো মেয়েটি টাঙ্গাইল জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ মামালার তদন্তকারী নাগরপুর থানা পুলিশের চৌকস দলের সদস্য এসআই মো. ফাহিম ফয়সাল তরফদার, ফজলুল হক, এএসআই মো. রাসেল মিয়া, মো. আফজাল হোসেন, কনস্টেবল মো. তোফাজ্জল এর দলটি বলেন, তদন্তের তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি, আসামী তার বোনের বাড়িতে আত্নগোপন করে আছে। বিবাদির আত্নগোপনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে, উপজেলার পাইশানা গ্রামের অভিযুক্তের বোনের বাড়ি থেকে মধ্যে রাতে তাকে মামলার রুজু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের পর, আনন্দকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার বিজ্ঞ আদালতে সে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। আমরা মানবিক দিক গুলোর বিবেচনায়, আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে দলের সকলের টিম ওয়ার্ক এবং আমাদের ওসি স্যারের একান্ত নিরলস প্রচেষ্টা ও দিকনির্দেশনায় মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ৭ বছরের শিশু ধর্ষণে, মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে অভিযোগ দেয়। পরে অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক ২০/০৪/২০২১ তারিখে ৭ নং ক্রমিকে একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ মামলার প্রধান আসামি আনন্দকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আনন্দ শেখ, সখিপুর- নাগরপুরের বিজ্ঞ আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রুপন কুমার দাশ এর কাছে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এছাড়াও শিশুটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায়, নাগরপুর-সখিপুরের বিজ্ঞ আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট লুনা ফেরদৌস এর কাছে আনন্দ শেখ কে চিহ্নিত করে, ধর্ষণের ঘটনা বর্ননা করে শিশুটি জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে জানা যায়।