নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, দেশেই ভ্যাকসিন তৈরি করতে সরকার আন্তর্জাতিক মানের একটি ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট তৈরি করতে যাচ্ছে। এই ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউটে অন্যান্য টিকার পাশাপাশি করোনার টিকাও তৈরি করা হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সাংসদ আহসানুল ইসলামের এক প্রশের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় সরকার দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সাথে একটি চুক্তি সম্পন্ন করবে। ইতোমধ্যে এই চুক্তির বিভিন্ন দিক বিবেচনা এবং মন্ত্রিসভায় এর অনুমোদনের কার্যক্রম চলছে।’
শেখ হাসিনা সংসদকে জানান, করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার বিদেশ থেকে করোনার টিকা সংগ্রহের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেসকল দেশ ইতোমধ্যে করোনার টিকা তৈরি করেছে, সেসকল দেশের সরকারের সাথে তাদের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে উৎপাদনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
টিকা উৎপাদনের সক্ষমতার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এরই মধ্যে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে। অপরদিকে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেকের টিকা এখনো ট্রায়াল পর্যায়ে আছে।’
সংসদে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার ইতোমধ্যে জরুরি ব্যবহারের জন্য পাঁচটি টিকা অনুমোদন করেছে। এগুলো হলো- অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা, সিনোফার্ম (চীন), স্পুটনিক-ভি (রাশিয়া), ফাইজার-বায়োটেক (ইউএস/জার্মানি) এবং করোনা ভ্যাক (চীন)।
গত ৫ জুন পর্যন্ত দেশের ৫৮ লাখ ২২ হাজার ১৭৭ জন নাগরিক করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। অপরদিকে এই সময় পর্যন্ত ৪২ লাখ ৯ হাজার ৫১০ মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
সূত্র : ইউএনবি