সিনিয়র রিপোর্টার,ঢাকা: বাংলাদেশে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ডক্টর রুবানা হক বলেছেন, তৈরি পোশাক খাতের উন্নয়নে আরএমজি সাসটেইনিবিলিটি কাউন্সিল (আরএসসি) গঠনে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা হয়েছে। এই সংবাদ সম্মেলন ডক্টর রুবানা হক বলেন, ব্র্যান্ড, ট্রেড ইউনিয়ন ও ইন্ডাস্ট্রি- এ তিন পক্ষ মিলে আমরা আরএসসি গঠন করতে সমঝোতায় পৌঁছেছি। আশা করছি আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু করতে পারব। মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ফোর পয়েন্ট বাই শেরাটনে আয়োজিত ‘স্টেক হোল্ডারস কনফারেন্স অন আরএমজি সাসটেইনিবিলিটি কাউন্সিল ফরমুলেশন অ্যান্ড ট্রানজিশন’র শেষ দিনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এই সংবাদ সম্মেলনে রুবানা হক বলেন, শিল্প যেভাবে এগোচ্ছে, সবাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সমঝোতার মাধ্যমে বাঞ্ছনীয় কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আমাদের অনেক সাহায্যে করেছে। সবপক্ষই এখন একমত হয়েছে। এই সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, আরএসসি দু’ভাবে গঠন হতে পারে, ফাউন্ডেশন অথবা কোম্পানি। আমরা সরকারের অনুগ্রহপুষ্ট হয়ে কাজ করবো। আরএসসি কার্যক্রম শুরু করলে ২০২০ সালের মধ্যে অ্যাকর্ড সব কার্যক্রম হস্তান্তর করবে। ‘আরএসসি প্রথমবারের মতো নেওয়া একটি জাতীয় উদ্যাগ। যা দেশীয় শিল্প, ব্র্যান্ড ও ট্রেড ইউনিয়নকে একত্রিত করে একটি সমন্বিত কমপ্লায়েন্সের মানদণ্ড নিশ্চিত করবে। পর্যায়ক্রমে আরএসসি শিল্পসম্পর্ক কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানো ও পরিবেশগত বিষয়গুলোকে কর্মপরিধির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করবে।’ রুবানা হক বলেন, সরকার আরএসসির লাইসেন্স দেবে। অ্যাকর্ডের যারা আছে, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- আরএসসি গঠনে টেকনিক্যাল সাব কমিটি করবো। এ কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। এখন আমাদের পেছানোর সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ অনেক উন্নত হয়েছে। নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করার আহ্বান জানিয়ে রুবানা হক বলেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে পরিবেশ এখন ভালো। শ্রমিকদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা রয়েছে। তাই ন্যারেটিভ মনোভাব পোষণ করবেন না। এসময় সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্থিত ছিলেন বিদেশি বায়ার, অ্যাকর্ড, ট্রেড ইউনিয়ন, ব্র্যান্ড ও ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিরা।