বিশেষ প্রতিনিধি: ‘দীর্ঘদিন যাবত নুরুল হকের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছিলো স্থানীয় কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। কিন্তু নুরুল হক সেই চাঁদা দিতে অসীকৃতি জানালে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের ওই সদস্যরা’ ফতুল্লা মডেল থানায় এমন অভিযোগই দায়ের করেছেন নুরুল হক।
নুরুল হক ফতুল্লা থানাধীন চর কাশিপুর মজিদ নগর এলাকার চাঁন বক্স ফকিরের ছেলে।
অভিযোগসূত্রে জানাযায়, নুরুল হকের কাছ থেকে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদা দাবি করে আসছিলো শ্যামল, সাব্বির, নিতুল, মামুন, রবিন, সাকিব ও শোভনসহ একদল কিশোর গ্যাং। এ চাঁদার জন্য পথে ঘাটে যেখানেই দেখা হতো, সেখানেই ওই নুরুল হককে হুমকি ধামকি প্রদান করতো কিশোর গ্যাংরা। কিন্তু তাদের হুমকি ধামকিতেও যখন কোন কাজে আসছেনা, নুরুল হকের কাছ থেকে দাবিকৃত চাঁদা পাচ্ছিলো না, ঠিক তখনই যেন ওই কিশোর গ্যাংরা পরিকল্পনা করে নুরুল হককে প্রাণে মেরে ফেলার।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে নুরুল হকের বাসায় হামলা চালায় ওই কিশোর গ্যাং। এসময় নুরুল হককে এলোপাথারী মারধর করে তাৎক্ষণিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু তখনও টাকা দিতে অস্বীকার করলে নুরুল হকের চোঁখের সামনে তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করে। শুধু তাই নয়, নুরুল হকের বাড়ী ঘরে চালানো হয় লুটপাট। বাসা থেকে ক্যাশ টাকাসহ লুটপাট করা হয় মোবাইল ও স্বর্ণালোংকারও।
কিশোর গ্যাংয়ের তান্ডব শেষে প্রতিবেশিরা নুরুল হককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রাতে ফতুল্লা থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন নুরুল হক। তবে থানায় অভিযোগের পরও নুরুল হকের বাড়ীতে ফের ওই কিশোর গ্যাং হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন নুরুল হক।
এ বিষয়ে নুরুল হক আরও বলেন, তিনি চাকুরীর পাশাপাশি ছোট-খাটো একটি ব্যবসার সাথে জড়িত। তার কাছ থেকে লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলো ওই কিশোর গ্যাংরা। না দেওয়ার কারণেই স্ত্রীসহ তাকে হামলার শিকার হতে হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি ফতুল্লা থানা পুলিশের সর্বাত্মক সহযোগীতা কামনা করেছেন।