আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে:মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সোমবার সকালে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে  রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, গতকাল পর্যন্ত আমরা ১ হাজার ২২২ জন বুদ্ধিজীবীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছি। আমরা আরও খতিয়ে দেখছি। আমরা আশা করছি যারা বাদ পড়েছেন তাদের নিয়ে আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে পারবো।

মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনাই ছিল অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম।

কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশকে যে ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া মৌলবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করেছে। তাই মৌলবাদীদের শেকড় অনেক গভীরে। এক কথায় এদের মূলোৎপাটন করা সম্ভব নয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদের মূলোৎপাটন করার জন্য জাতি কীভাবে ঐক্যবদ্ধ, সেটা নিশ্চয় আপনারা লক্ষ্য করেছেন।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছেন, আইন হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য। তাই আমরা কোনো পর্যায়েই ওদের বিরুদ্ধে আইন হাতে তুলে নিইনি। আমাদের চেতনা দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিতে উজ্জীবিত হয়েই রাজনৈতিকভাবে এই বিষফোঁড়া উপড়ে ফেলার জন্য ঐক্যবদ্ধ আছি।

রাজাকারদের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে রাজাকারদের তালিকা করা ছিল আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, আইনত কোনো ভিত্তি ছিল না। ১৫ দিন আগে মন্ত্রিসভায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের সংশোধন করে রাজাকারদের তালিকা করার বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে।

জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনেই সংশোধিত ওই আইন পাস হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

Title