আগামী মাসেই স্কুল খুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ রোববার জাতীয় সংসদে শিক্ষা বিষয়ক কয়েকটি বিল পাশের পর দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা না নিয়ে ফল প্রকাশে যেই আইনি জটিলতা ছিল তা নিরসন হওয়ায় যত দ্রুত সম্ভব এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।’ ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর কীভাবে কার্যক্রম শুরু হবে-সংসদে সেই পরিকল্পনা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হবে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন স্কুলে যেতে হবে। ওই একদিন ক্লাস করে তারা পুরো সপ্তাহের পড়া নিয়ে যেতে হবে এবং পরের সপ্তাহে আবার একদিন স্কুলে যেতে হবে।
গত বছরের অক্টোবরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল পরীক্ষা না নিয়েই দেওয়া হবে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরীক্ষা না নিয়ে ফল দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে পরীক্ষা না নিয়ে ফলাফল দেওয়ার বিষয়ে আইনি বাধা ছিল এতদিন। সেসব জটিলতা মাথায় রেখে বর্তমান আইন সংশোধন করে গত মঙ্গলবার সংসদে বিল উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী। আজ রোববার বিলটি পাস হওয়ার পর এইচএসসির ফল প্রকাশ করা নিয়ে আর কোনো আইনি জটিলতা থাকলো না।
মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না নেওয়া সম্ভব হলে যেন পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশ করার বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য এই বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে জানান।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই বছরের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে পরের কয়েকমাসের মধ্যে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ওই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের প্রস্তুতি নিয়ে এ বছরের পরীক্ষা নিতে পারবো বলে আশা করি।’